Birthday surprise- Mahi Mohiuddin
সেই আমি আর এই আমি
জন্মদিন নিয়ে হইচই কোনকালেই ছিলো না আমাদের বাসায়। মনে পড়ে না ছেলেবেলায় কখনো জন্মদিনের কেক কেটে পার্টি করেছি বলে। অনেক বছর এমন হয়েছে, দিনটি মনেই থাকতো না, হয়তো ৫/৬ তারিখ হয়ে গেলে মনে হতো, হায় হায় জন্মদিন চলে গেলো। খুব বেশি হলে আম্মা বলতেন বিকেলে খেলা শেষে বন্ধুদের বাসায় ডেকে নিয়ে আসতে, তখন হয়তো তাদের মিষ্ট, চানাচুর, পিঠা, কলা এসব খাইয়ে আমার জন্মদিন পালন হতো অথবা বাসায় একবেলা ভালো ভালো খাবার রান্না হতো জন্মদিন উপলক্ষে।
বড় হবার পর আমার প্রথম জন্মদিনের কেক আসে মাত্র কয়েকবছর আগে। আমার ছোট ভাই সেদিন বাইরে থেকে ফেরার পথে নিয়ে এসেছিলো। আমরা ভাইবোন মিলে সন্ধ্যাতেই কেক কেটে খেয়ে ফেললাম J তারপর আরেক ফ্যাসাদ ফেসবুক। না চাইলেও সবাইকে মনে করিয়ে দেয় যে আজ আমার জন্মদিন। চাকরিতে যোগ দেয়ার পর ফেসবুক দেখে কখনো কখনো সহকর্মিরা নিজ হাতে কেক বানিয়ে আনে। ফেসবুকের দেয়াল ভেসে যায় শুভেচ্ছায় শুভেচ্ছায়। এসব দেখে চাহিদা বাড়তে থাকে। প্রিয় মানুষেরা কে কার আগে উইশ করবে। কেউ কি ভুলে গেলো? কেউ ভুলে গেলে সে কি ঝগড়া। তবে বেশিরভাগ সময়ই যাদের উইশ এর মুল্য চড়া তারা উইশ করতে ভুলেই যান। শত উইশের ভীড়ে সেসব উইশ খুঁজে বেড়ায় চোখ। কখনো কখনো কেউ বলে, ‘উইশের কি দরকার? জন্ম হোক যথা তথা, কর্ম হোক ভালো”। (তখন যে তারে কি করতে মনে চায় কি বলবো :@ )
এখন আর জন্মদিন আনন্দের মনে হয় না। উইশ আসতে থাকে একের পর এক। আর আমি ভাবি জীবন থেকে আরও একটি বছর হারিয়ে গেলো। বুড়ো হবার সকল উপসর্গ দেখা দিতে থাকে একের পর এক। আর প্রতিবছর আমার জন্মদিন আমাকে মনে করিয়ে দেয়, কাউন্ট ডাউন শুরু হয়েছে। কবে শেষ আমি তার কিছুই জানি না।
Be happy in your life.......
ReplyDelete